প্রবাহী তড়িৎ এবং তড়িৎ চুম্বকত্ব
উঃ প্রবাহমাত্রা(Current) : পরিবাহীর যে-কোনাে প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ পজিটিভ আধান প্রবাহিত হয়, তাকে ঐ পরিবাহীর প্রবাহমাত্রা বা Current বলে। এস, আই,পদ্ধতিতে প্রবাহমাত্রার একক হল অ্যাম্পিয়ার। এটিই প্রবাহমাত্রার ব্যবহারিক একক।
মনে করি, কোনাে পরিবাহীর যে-কোনাে প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে t সেকেন্ডে Q পরিমাণ পজিটিভ আধান প্রবাহিত হচ্ছে।
তাহলে, পরিবাহীর প্রবাহমাত্রা (I) = তড়িৎ আধান(Q)/সময়(t)
অতএব, তড়িদাধানের পরিমাণ = প্রবাহমাত্রা x সময় (সেকেন্ড এককে)।
2. অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?
উঃ কোনাে পরিবাহীর যে-কোনাে প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেণ্ডে1 কুলম্ব তড়িৎ প্রবাহিত হলে পরিবাহীর প্রবাহমাত্রাকে 1 অ্যাম্পিয়ার বলা হয়। প্রবাহমাত্রার অপর একটি প্রচলিত একক হল তড়িৎ চুম্বকীয় একক (Electro Magnetic Unit or e.m.u).
1 ই.এম.ইউ. (e.mu.) = 10 অ্যাম্পিয়ার।
3. প্রবাহমাত্রা (Current) কত প্রকারের কি কি প্রকারের সংজ্ঞা লেখ।
উঃ দুই প্রকারের i) AC (Alternating Current)
ii) DC ( Direct Current)
পরবর্তী প্রবাহ (Alternating Current বা AC) সংজ্ঞা:কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের দিক যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যায়ক্রমে বিপরীতমুখী হয় তবে তাকে পরিবর্তী প্রবাহ বা অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে।
সম প্রবাহ (Direct Current বা DC ) সংজ্ঞা:
কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একটানা একই দিকে তড়িৎ প্রবাহ হলে তাকে সম প্রবাহ বলে।
4. তড়িৎ বিভব (Electric potential) কাকে বলে?
উঃ তড়িৎ-বিভব (Electric potential) : কোনাে বস্তুকে তড়িৎগ্রস্ত করলে তড়িৎগ্রস্ত বস্তুটি অন্য কোনাে বস্তুকে তড়িৎ দিতে পারে কিংবা অন্য কোনাে বস্তু থেকে তড়িৎ গ্রহণ করতে পারে।বস্তুটির এরকম তড়িৎ-অবস্থাকে তড়িৎ-বিভব বলে। পজিটিভ তড়িৎগ্রস্ত বস্তুকে উচ্চ-বিভব এবং নেগেটিভ তড়িৎগ্রস্ত বস্তুকে নিম্ন-বিভব ধরা হয়।
তড়িৎ বিভব (V)= কৃতকার্য(w)/ আধানের পরিমাণ (q)
তড়িৎ বিভবের এস আই একক ভোল্ট।
5. তড়িচ্চালক বল (Electromotive Force or EMF )কাকে বলে?
উঃ সংজ্ঞা: কোনাে তড়িৎ উৎসের মধ্য দিয়ে নিম্নবিভব থেকে উচ্চ বিভবে একক তড়িদাধান স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে ওই উৎসে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে উৎসটির তড়িচ্চালক বল বলা হয়।
অর্থাৎ তড়িৎচ্চালক বল =তড়িৎশক্তির পরিমাণ / স্থানান্তরিত তড়িদাধান
তড়িচ্চালক বল একক: শক্তি ও তড়িদাধানের একক হল যথাক্রমে জুল (J) ও কুলম্ব (C)। তাই ওপরের সংজ্ঞানুসারে, তড়িৎচালক বলের একক হল J/C। আবার, তড়িৎবিভব সম্বন্ধীয় আলােচনা থেকে জানা যায়, জুল/কুলম্ব = ভােল্ট
6. বিভব প্রভেদ ( Potential Difference) কাকে বলে?
উঃ তড়িৎকোষের তড়িৎদ্বার দুটিকে বাইরে থেকে কোনাে পরিবাহী তার দিয়ে যােগ করলে তড়িৎদ্বার দুটির মধ্যে যে বিভব পার্থক্যের সৃষ্টি হয়, তাকে ঐ কোষের বিভব প্রভেদ বলে।
এস. আই. পদ্ধতিতে তড়িৎচ্চালক বল ও বিভব প্রভেদের একক ভােল্ট। এটিই এদের ব্যবহারিক একক।
7. ওহমের সূত্রটি ( ohm's law) কি?
উঃ জার্মান বিজ্ঞানী ওহম 1826 খ্রিস্টাব্দে ধাতব পরিবাহীর ক্ষেত্রে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার সঙ্গে বিভবপ্রভেদের সম্পর্কটি নির্ণয় করেন এই
সূত্রটি নিম্নরূপ:
তাপমাত্রা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে কোনাে পরিবাহীর প্রবাহমাত্রা তার দু-প্রান্তের বিভবপ্ৰভেদের সমানুপাতিক হয়।
8. রোধ কাকে বলে এবং রোধের একক কি?
উঃ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে, পরিবাহী ঐ তড়িৎ প্রবাহ বিরুদ্ধে যে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে পরিবাহীর রোধ (Resistance) বলে।
এসআই পদ্ধতিতে রোধের একক ওহম।
9. রোধাঙ্ক কাকে বলে? এর একক কি?
উঃ একক ঘনকের যেকোনো দুই বিপরীত তলের মধ্যবর্তী অংশকে তার উপাদানের রোধাঙ্ক বলা হয়।
রোধাঙ্কের একক ওহম-সেমি
দৈর্ঘ্যকে মিটারে প্রকাশ করলে SI একক হয় ওহম মিটার।
R= pl/A বা p= RA/l
10. রোধের উষ্ণতা গুণাঙ্ক কাকে বলে?
উঃ সংজ্ঞা: 0°C উষ্ণতায় একক রােধবিশিষ্ট কোনাে পদার্থের প্রতি 1°C উন্নতা পরিবর্তনের জন্য রােধের যে পরিবর্তন হয়, তাকে ওই পদার্থের রােধের উষ্মতা গুণাঙ্ক ( Temperature Coefficient of Resistance) বলা হয়।
11. কিভাবে বৈদ্যুতিক শক্তির পরিমাপ করে ?
উঃ যদি কোনাে তড়িৎ যন্ত্রে V ভােল্ট বিভব-প্রভেদ বিশিষ্ট পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে C অ্যাম্পিয়ার তড়িৎপ্রবাহ t সেকেণ্ড সময় ধরে চালনা করা হয়, তবে ঐ যন্ত্রের দ্বারা সম্পাদিত কার্য বা ব্যয়িত শক্তি = C×t×V জুল
=C × t × ( C×R) জুল
=C²Rt জুল [V = CR, R পরিবাহীর রােধ]।
12. ওয়াট কাকে বলে ?
উঃ যে বৈদ্যুতিক যন্ত্র 1 সেকেণ্ড সময়ে 1 জুল কাজ করতে পারে, তার ক্ষমতাকে 1 ওয়াট বলে।
অতএব, 1 ওয়াট = 1 জুল/সেকেণ্ড = 10⁷ আর্গ /সেকেণ্ড
আবার, ক্ষমতা =সম্পাদিত কার্য বা ব্যয়িত শক্তি / সময়
= (C × t × V) /t জুল/সেকেণ্ড
= C × V জুল/সেকেণ্ড
অর্থাৎ, কোনাে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের বিভব-প্রভেদ V ভােল্ট এবং প্রবাহমাত্রা C অ্যাম্পিয়ার হলে, ঐ যন্ত্রের ক্ষমতা = C x V ওয়াট।
13. B.O.T বা কিলোওয়াট ঘন্টা কি?
উঃ এক কিলােওয়াট ক্ষমতায়কোনাে বৈদ্যুতিক যন্ত্র 1 ঘণ্টা চললে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় হয়, তাকে 1 কিলােওয়াট ঘণ্টা বা বাের্ড অফ ট্রেড একক (বা, বি.ও.টি একক) বলে।
অর্থাৎ, কিলােওয়াট ঘণ্টা বা বি.ও.টি. একক
= ওয়াট-ঘন্টা/1000
= (অ্যাম্পিয়ার × ভোল্ট × ঘন্টা)/1000
14. ফিউজ তার কাকে বলে?
উঃ চিনামাটির হোল্ডারে টিন ও সীসার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি উচ্চরোধযুক্ত এবং কম গলনাংকের যে সুরু পরিবাহী তার বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনে শ্রেণী সমবায়ে যুক্ত থাকে তাকে ফিউজ তার বলে।
15. আর্থিং করা হয় কেন?
উঃ শর্ট সার্কিটজনিত বিপদ থেকে এবং বর্তনীতে যুক্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্র গুলিকে রক্ষা করতে আর্থিং বা ভূ-সংযোগ করা হয়।
16. আন্তর্জাতিক মতানুসারে তারের রং কেমন হওয়া উচিত?
উঃ লাইভ তারের রঙ - বাদামী বা লাল বর্ণের
নিউট্রাল তারের রঙ - হালকা নীল বা কালো বর্ণ
আর্থিং তারের রঙ - সবুজ বা হলুদ বর্ণ ( এই তার ব্যবহৃত হয় লিকেজ কারেন্ট প্রবাহের জন্য)
17. অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম লেখ।
উঃ মনে করি, কোনাে লােক তড়িৎবাহী তার বরাবর তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখে এমনভাবে সাঁতার কাটছে, যেন তার মুখ সর্বদা চুম্বকশলাকার দিকে আছে। ঐ অবস্থায় চুম্বকশলাকার উত্তরমেরু সন্তরণকারীর বাঁ হাতের দিকে বিক্ষিপ্ত হবে।
18. ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়মটি কি ?
উঃ ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়ম (Fleming 's left hand rule) : বিজ্ঞানী ফ্লেমিং (Fleming) চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাবে তড়িদ্বাহী পরিবাহীর ঘূর্ণনের অভিমুখ নির্ণয় সংক্রান্ত একটি নিয়মের
অবতারণা করেন।
নিয়মটি হল- বাঁ-হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও বুড়াে আঙ্গুলকে পরস্পরের সঙ্গে সমকোণে রাখলে যদি তর্জনী চৌম্বকক্ষেত্রের এবং মধ্যমা তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ নির্দেশ করে,তবে বুড়াে আঙ্গুল তড়িত্বাহী পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্দেশ করবে।
19. সলিনয়েড কি?
উঃ একটি দীর্ঘ অন্তরিত পরিবাহী তারকে অপরিবাহী পদার্থের কোনাে চোঙের গায়ে ঘন করে জড়ালে যে কুণ্ডলী পাওয়া যায়, তারের সেই কুণ্ডলীকে সলেনয়েড বলা হয়। সলেনয়েড কুণ্ডলীটির যে-কোনাে পাক চোঙটির অক্ষের সঙ্গে লম্বভাবে থাকে। সলেনয়েডে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে সলেনয়েডের দুই প্রান্তে দণ্ড চুম্বকের মতাে দুটি মেরুর সৃষ্টি হয়—অর্থাৎ, তড়িত্বাহী সলেনয়েড দণ্ড-চুম্বকের মত আচরণ করে।
20. তড়িৎ চুম্বক ( Electro - magnet) কাকে বলে?
উঃ তড়িৎ-চুম্বক (Electro-magnet) : সমপ্রবাহ তড়িৎ(D.C)-এর সাহায্যে কোনাে চৌম্বক পদার্থকে চুম্বকে পরিণত করা হলে, সেই চুম্বককে তড়িৎবাহী সলেনয়েড তড়িৎ-চুম্বক বলে। তড়িত্বাহী সলেনয়েডের মধ্যে কাঁচা লােহার দন্ড রেখে পরিবাহী
কুন্ডলীতে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করলে লােহার দন্ডটি একটি চুম্বকে পরিণত হয়। কাঁচা কাঁচা লােহার দণ্ড লােহার দন্ডটিকে তড়িৎচুম্বকের মজ্জা (core) বলে।
21.বৈদ্যুতিক মোটরের কোন শক্তি থেকে কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ?
উঃ বৈদ্যুতিক মােটরে তড়িৎশক্তি যান্ত্রিক শক্তি রূপান্তরিত হয়।
22. বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি কিভাবে বৃদ্ধি করা যাবে?
উঃ বৈদ্যুতিক মােটরের শক্তি i) ক্ষেত্র চুম্বকের প্রাবল্য বাড়িয়ে, ii) কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা বাড়িয়ে এবং iii) তড়িৎ প্রবাহের মাত্রা বাড়িয়ে বাড়ানাে যায়।
23. তড়িৎ চুম্বকের মেরু শক্তি কিসের উপর নির্ভর করে?
উঃ তড়িৎচুম্বকের মেরুশক্তি নির্ভর করে। i) তারের পাকসংখ্যা, ii) মজ্জার উপাদান ও আকৃতি, iii) দৈর্ঘ্যের উপর।
24. ভোল্টমিটার ও অ্যামমিটার কি?
উঃ ভােল্টমিটার : গ্যালভানােমিটারের সহিত শ্রেণীসমবায়ে উচ্চমানের রােধ যুক্ত করে ভােল্টমিটারে পরিণত করা হয়। কিন্তু তড়িৎ বর্তনীতে বিভদ প্রভেদ মাপার সময় সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করা হয়। আদর্শ ভােল্টমিটারের রােধ অসীম।
অ্যামমিটার : গ্যালভানােমিটারের সহিত সমান্তরাল সমবায়ে নিম্নমানের রােধ যুক্ত করে অ্যামমিটারে পরিণত করা হয়। তড়িৎ বর্তনীতে শ্রেণী সমবায়ে যুক্ত করে তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা মাপা হয়। আদর্শ অ্যামমিটারের রােধ শূণ্য।
25. প্রবাহী তড়িৎ এর বিভিন্ন রাশি এস আই একক তাদের সম্পর্ক নিচে দেওয়া হল:-
রাশি | চিহ্ন | এসআই একক | সম্পর্ক |
---|---|---|---|
তড়িদাধান বা তড়িতের পরিমাণ |
q বা Q |
কুলম্ব(C) | 1 কুলম্ব= 3 × 10⁹ esu (CGS) |
প্রবাহমাত্রা | I = q/t বা i |
অ্যাম্পিয়ার W/q (A) |
10A = 1 emu |
বিভব প্রভেদ | V বা E=W/q |
ভোল্ট (V)=J/C | 1V = 1/300 esu |
রোধ ( resistance) | R | R=V/I | ohm , পরিবাহিতা=1/R mho (মো) |
রোধাঙ্ক (Resistivity) | p=RA/L | ohm cm |
1. দুটি পরিবাহীর মধ্যে কোন্ ধর্মের পার্থক্য থাকলে সংযােজী তার দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ হবে?
উঃ বিভব প্রভেদ।
2. প্রাথমিক তড়িৎকোশের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ লেকল্যান্স কোশ।
3. গৌণ তড়িৎকোশের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ লেড অ্যাসিড সঞ্চয়ক কোশ।
4. উচ্চমানের তড়িৎপ্রবাহ পেতে হলে কী ধরনের কোশ ব্যবহার করবে?
উঃ গৌণ কোশ।
5. মানক বৈদ্যুতিক কোশের তড়িৎচ্চালক বল কি কোশের আয়তনের ওপর নির্ভর করে?
উঃ না ।
6. SI-তে তড়িদাধানের একক কি ?
উঃ কুলম্ব
7. SI-তে তড়িৎপ্রবাহের একক কি ?
উঃ অ্যাম্পিয়ার।
8. SI-তে তড়িৎচালক বলের একক কি ?
উঃ ভোল্ট।
9. সক্রিয় উপাদান হিসেবে লেড ডাইঅক্সাইডকে রাখা হয় লেড-অ্যাসিড সঞ্চায়কের কোন তড়িৎদ্বারে ?
উঃ ধনাত্মক তড়িৎদ্বার।
10. সক্রিয় উপাদান হিসেবে ধাতব লেডকে রাখা হয় লেড-অ্যাসিড সঞ্চায়কের কোন তড়িৎদ্বারে ?
উঃ ঋনাত্মক তড়িৎদ্বার।
11. লেড-অ্যাসিড সজ্ঞায়কের সক্রিয় তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থটি কি ?
উঃ সালফিউরিক অ্যাসিড।
12. গৌণ কোশের অভ্যন্তরীণ রােধ প্রাথমিক কোশ অপেক্ষা কম না বেশি ?
উঃ কম।
13. অ্যাম্পিয়ার ঘন্টা এককটি কোন্ রাশির একক?
উঃ তড়িদাধান।
14. তড়িৎ প্রবাহের প্রচলিত অভিমুখ কোন দিকে ?
উঃ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে ।
15. দীর্ঘ সময় ধরে তড়িৎক্ষরণ চলাকালীন লেড-অ্যাসিড সঞ্চয়ক কোশের তড়িৎচালক বল কত হবে ?
উঃ 2.0 V
16. সঞয়ক কোশের আহিতকরণের সময় শক্তির কী রূপান্তর হয় ?
উঃ তড়িৎশক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি ।
17. সঞয়ক কোশের তড়িৎক্ষরণের সময় শক্তির কী রূপান্তর হয় ?
উঃ রাসায়নিক শক্তি থেকে তড়িৎশক্তি
18. একটি গৌণ কোশের সামর্থ্য 100 Ah এর থেকে কী পরিমাণ তড়িৎ পাওয়া যাবে?
উঃ 360000 C
Important MCQ from ohm's law and resistance
1.তড়িৎবিজ্ঞানের কোন্ এককটি SI-তে প্রাথমিক একক?
উঃ অ্যাম্পিয়ার
2. রােধাঙ্কের একক কী?
উঃ ওহম-সেমি বা ওহম মিটার।
3. তামার রােধাঙ্ক 1.76 x 10-⁶ ohm cm একে ওহম মিটারে প্রকাশ করাে।
উঃ 1.76 x 10-⁸ ohm-m
4. রােধের উষ্ণতা গুণাঙ্কের একক কী?
উঃ প্রতি °C
5.তড়িৎ পরিবাহিতার একক কী?
উঃ মাে (mho)
6. সমপ্রস্থচ্ছেদবিশিষ্ট একই পদার্থের দুটি পরিবাহী তারের দৈর্ঘ্য l এবং 2l হলে তাদের রােধ কত হবে ?
উঃ প্রথমটির রােধ : দ্বিতীয়টির রােধ = 1:2
7. দুটি রােধক R ও R সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত আছে। এদের তুল্যাঙ্ক রােধ কত?
উঃ R1R2/(R1+R2)
8. গ্যালভানােমিটারের মধ্য দিয়ে যাতে উচ্চ প্রবাহ যেতে না পারে, তার জন্য এর সমান্তরালে রােধ যােগ করা হয় তাকে কি বলা হয়?
উঃ সান্ট বলে।
9. কোশের অভ্যন্তরীণ রােধের জন্য কোশের বিভবপ্রভেদ তার তড়িৎচালক বল অপেক্ষা যতটুকু কম হয় তাকে কী বলা হয়?
উঃ নষ্ট ভেল্ট
10. বাড়ির বিদ্যুৎ সংযােগে বিভিন্ন তড়িৎযন্ত্রকে কী ধরনের সমবায়ে যােগ করা হয়?
উঃ সমান্তরাল ।
11. তড়িৎপ্রবাহমাত্রা পরিমাপের যন্ত্রের নাম কী?
উঃ অ্যামিটার
12. তড়িৎ বিভবপ্রভেদ পরিমাপের যন্ত্রের নাম কী?
উঃ ভােল্টমিটার
13. তাপমাত্রা বাড়লে রােধ কমে এমন একটি পদার্থের নাম লেখাে।
উঃ অর্ধপরিবাহী।
14. কোন কণা ধাতব পরিবাহীতে আধান বাহক হিসেবে কাজ করে?
উঃ ইলেকট্রন।
15. কোনাে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহমাত্রা 1 mA এবং এর দু-প্রান্তের বিভবপ্রভেদ 1 V হলে পরিবাহীর রােধ কত?
উঃ 1000 ওহম