অ্যারোসল কি? অ্যারোসল কি কাজে ব্যবহৃত হয় এবং অ্যারোসল এর ক্ষতিকর দিক

অ্যারোসল কি? অ্যারোসল কি কাজে ব্যবহৃত হয় এবং অ্যারোসল এর ক্ষতিকর দিক

অ্যারোসল কি?
অতি ক্ষুদ্র কঠিন বা অণুবীক্ষণিক কিছু কথা কোনাে গ্যাসীয় মাধ্যমে বিস্তৃত হয়ে অ্যারােসল গঠন করে। অ্যারােসল এক ধরনের কলয়েড। বায়ুতে প্রলম্বিত কণাজতীয় দূষক পদার্থ বায়ুকে দুষিত করে। এক্ষেত্রে ভাসমান কণাগুলির ব্যাস 10-⁵ সেমি থেকে 10-⁷সেমি হতে পারে। এগুলি মূলত ধূলিকণা, ধাতব ও অধাতব কণা, ধোঁয়াশা, ছাই, কুয়াশা ইত্যাদি বিভিন্ন মৌলিক বা যৌগিক কণা। 
অ্যারোসল কিভাবে হয়?
বিভিন্ন উপায়ে অ্যারােসল হতে পারে। যথা :
(i) জ্বালানির দহন, ধাতু নিষ্কাশন শিল্প, সিমেন্ট ও অ্যাসবেসটস শিল্প, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উড়ন্ত ছাই ইত্যাদির মাধ্যমে,
(ii) গৃহ ও রাস্তা ঘাট নির্মাণ, আগুন, রাস্তার ধূলিকণা ইত্যাদি থেকে এবং 
(iii) মােটরযানজাত ধোঁয়া থেকে নির্গত ধোঁয়ার কার্বন, সীসা বা সীসার অক্সাইড প্রভৃতি কণা বায়ুতে প্রলম্বিত অবস্থায় থেকে বায়ুদূষণ ঘটায়।
অ্যারোসল এর ক্ষতিকর দিক
বায়ুতে এদের উপস্থিতি চোখ, নাখ, গলার ব্যাধি সৃষ্টি করে এবং ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। সীসা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া, যকৃৎ, বৃক্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। বায়ুতে ভাসমান এই কণাগুলি শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রােগ, ক্যান্সার এবং জল ও খাদ্যে মিশে শরীরে প্রবেশ করে ক্রমপুঞ্জিতভাবে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। এছাড়াও বাতাসে উপস্থিত ভাইরাস, জীবাণু, অণুবীক্ষণিক ছত্রাক, বিভিন্ন উদ্ভিদের রেণু বায়ুকে দুষিত করে এবং শরীরে বিভিন্ন রােগের সৃষ্টি করে।
অ্যারোসল কি ধরনের পদার্থ?
উঃ দাহ্য পদার্থ।
অ্যারোসল কি কাজে ব্যবহৃত হয়
উঃ কীটনাশককে ছত্রভঙ্গ করতে যেমন মশা তাড়াতে অ্যারোসল ব্যবহার করা হয়  , শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার চিকিৎসাতে, এবং দহন প্রযুক্তি অ্যারোসল ব্যবহার করা হয়।
একটি তরল এরোসল এর উদাহরণ দাও।
উঃ কুয়াশা।
একটি কঠিন এরোসল এর উদাহরণ দাও।
উঃ ধূলিকণা, ছাই

আরো দেখুন-
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url