কর্মশিক্ষা কাকে বলে? কর্মশিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি কি কি?

কর্মশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার উদ্দেশ্য

কর্মশিক্ষা কাকে বলে?

উঃ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উৎপন্ন করতে গিয়ে আমরা কিছু শ্রম দান করি থাকি। এই শ্রমের বিনিময়ে সেই কাজ থেকে আমরা যে শিক্ষা লাভ করি তাই কর্ম শিক্ষা
কর্ম শিক্ষার মূল কথা হল, কর্মশিক্ষার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।

কর্ম শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি কি কি?

উঃ কর্মশিক্ষার উদ্দেশ্যকে দুই ভাবে ভাগ করা হয় যথা- 
1. সাধারণ উদ্দেশ্য
2. বিশেষ উদ্দেশ্য

1. সাধারণ উদ্দেশ্য

কর্মশিক্ষার সাধারণ উদ্দেশ্য গুলি হল-
1. উৎপাদনশীল কর্মের সাথে শিক্ষার পরিচয় ঘটানো 
2. শ্রমের প্রতি মর্যাদা সৃষ্টি করা।
3. শিক্ষার শৃঙ্খলা বলারণ হতে সাহায্যে করা
4. সৃজনী শক্তির বিজারণ ঘটানো।
5. শিক্ষার তীরে পরস্পর মধ্যে ভাতৃতো বোধ জাগরণ।
6. সৌন্দর্য্য বোধ, চারু শিল্প, হিসাব শাস্ত্র, রসায়ন বিজ্ঞান,
ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা।

2. বিশেষ উদ্দেশ্য

কর্মশিক্ষার বিশেষ উদ্দেশ্য গুলি হল-
1. কর্ম ও শিক্ষার মধ্যে একাত্তর বোধ সৃষ্টি করা।
2. কর্মে দক্ষতা অর্জন করা
3. ভবিষ্যতের রুটি রোজকার ও কর্মসংস্থানে সহায়তা করা।

কর্মশিক্ষার মৌলিক উপাদান কয়টি ও কি কি?

কর্মশিক্ষার চারটি মৌলিক উপাদান আছে যথা-
1. সাক্ষরতা 2. সংখ্যাচেনা 3. প্রয়োগ বিজ্ঞান 4. সামাজিক বিজ্ঞান

মাধ্যমিক স্তরের কর্মসূচি প্রকল্প

1984 সালের মাধ্যমিক পরিক্ষায় নবম ও দশম শ্রেণির জন্য মোট 11টি উৎপাদন মুখী প্রকল্প কথা বলা হয়েছে। যথা-
1. সাবান, কালি, ফিনাইল তৈরী।
2. গৃহস্থলীর বৈদুতিক তার কাটানো ও বৈদুতিক যন্ত্রপাতি
মেরামতি অথবা ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির সংযোগ বিধান ও
মেরামতি।
3. খাদ্য শস্যের চাষ ( যেমন-ধান ও গম)
4. পাট চাষ
5. শাকসব্জি ও ফুলের চাষ
6.বার্ষিক ও দ্বিবার্ষিক উদ্যান রচনা
7. প্রাথমিক সুতোকাটা ও বয়ন
8. নক্সা আঁকা, রং করা ও বয়ন
9. শিবন ও সূঁচ এর কাজ
10. মাটির কাজ
11. কাঠের কাজ
এই প্রকল্পগুলির মধ্যে বিভিন্ন শহরের স্কুল ও গ্রামে স্কুলের মধ্যে কাঁচামালের অভাবের জন্য দুটি বিষয়ক প্রকল্প গুলি গ্রহণ করা হয়। যেমন:- গ্রামের বিদ্যালয়ে যদি কালি তৈরী করার কোনো প্রকল্প তৈরী করি তাহলে কাঁচামালের সংগ্রহের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যেতে পারে। তেমনি শহরের স্কুলে ধান বা গম চাষের প্রকল্প শহরে স্কুলে গ্রহণ করি তাহলে মাঠের অভাব হতে পারে সেইজন্য শহর অঞ্চলে বিদ্যালয়ে এই জাতীয় প্রকল্প বাঞ্চনিয়। তবে বিদ্যালয়ে শহরে বা অঞ্চলে হোক এমন প্রকল্প কর গ্রহণ করতে হবে যাতে কল্পটির সাথে অন্যান্য বিষয়ের ও সান্নিকরণের বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়।

কর্ম অভিজ্ঞতা কাকে বলে?

উঃ- বিদ্যালয়ে গিয়ে কর্মশালায় শস্য ক্ষেত্রে বা অন্য কোন উৎপাদন শীল ক্ষেত্রে, যে কোন উৎপাদনের কাজে অংশ গ্রহণ করাকে কর্ম অভিজ্ঞতা বলে।
অথবা 
কর্ম অভিজ্ঞতা হল কর্মজগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিত্তিক কর্ম সম্পাদন।

কর্মশিক্ষা কি ভাবে শ্রমের মর্যাদা বোধ জাগায়?

উঃ কর্মশিক্ষা আমরা যখন কর্ম সম্পাদন করি, তখন সেই কাজটি সম্পর্কে এবং সেই কাজটি প্রকৃতিতে যারা সম্পাদন করে অর্থাৎ শ্রমজীবি মানুষের সম্পর্ক জানতে পারি। বাগানের মাধ্যমে চাষিদের, বয়নের কাজের মাধ্যমে তাঁতীদের, কাঠের কাজে মাধ্যমে কাঠের মিস্ত্রিদের দুঃখ কষ্টের কথা জানতে পারি ফলে আমাদের শ্রমের প্রতি মর্যাদা বোধ সৃষ্টি হয়।

কর্মশিক্ষা কি একটি বিষয় তা যুক্তি দাও।

উঃ কর্ম শিক্ষাটি অন্যান্য বিষয় মতো একটি বিষয় রূপে গণনা করা হয় না। এহা একটি পদ্ধতি ও ম্যাথ। যার সাহায্যে সহজে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবসা অন্যান্য বিষয় গুলি শিক্ষার্থীর আগ্রহের সাথে অনুভাবন করতে পারবে । যেমন কোনো একটি উৎপাদনশীল কাজের মাধ্যমে শীক্ষার্থীরা জিবন বিজ্ঞান অঙ্ক, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয় গুলিকে সাহায্যে অনুভাবন করতে পারে।

কর্ম অভিজ্ঞতা ও কর্মশিক্ষার মধ্যে পার্থক্য কি?

উঃ আপত দৃষ্টিতে কর্ম অভিজ্ঞতা ও কর্মশিক্ষার অর্থ একই হলে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। উদ্দেশ্য মূলক কর্ম সম্প্রদানের মাধ্যমে বা কর্ম জগতে থেকে কাউকে কাজ করতে দেখে শুধু মাত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ি জিবনের মূল লক্ষ নয়। ব্যাক্তিতের পূর্ণ বিকাশের জন্য কর্মের বিভিন্ন ক্ষেত্রে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় এবং জিবনের ক্ষেত্রে তার ব্যস্ত প্রয়োগের সামর্থ্য হল আসল লক্ষ সেটিই হল কর্মশিক্ষা।
Next Post Previous Post
2 Comments
  • Anonymous
    Anonymous November 22, 2023 at 7:36 PM

    Khub valo hoyece

    • Anonymous
      Anonymous December 7, 2023 at 6:48 PM

      $🤑🤑🤑🤑🤑

Add Comment
comment url