ছাত্র সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা
ছাত্র সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা
ভূমিকা
জ্ঞানলাভ হল ছাত্রজীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। প্রাচীনকালে ছাত্ররা বেশির ভাগ গুরুর বাড়ীতে থেকে পড়াশোনা করতো। সেকালে পড়াশোনার নিয়মকানুন ছিল বড়ই কঠিন। ছাপার হরফে এই বই ছিল না। গুরুমশাই মুখে মুখে ছাত্রদের শিক্ষা দিতেন। আজ সে অবস্থা বদলেছে। গুরুগৃহে থাকার রীতিনীতি উঠে গেছে।
ছাত্রসমাজের কর্তব্য
বাল্যকাল হল ছাত্রজীবনের শুরু। এ সময় প্রত্যেক ছাত্রের কর্তব্য মন দিয়ে পড়াশোনা করা। ছাত্রাবস্থায় নিয়মিত পড়া, খেলাধূলা, শৃঙ্খলা মেনে চলা প্রভৃতির প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষকা, মাতা-পিতা, পাড়া-পড়শি সকলকে শ্রদ্ধা করতে শিখতে হয়। শুধু বিদ্যালয়ের পাঠাভ্যাস করলেই ছাত্রের কর্তব্য শেষ হয় না ; ছাত্রজীবনে যে অভ্যাস গড়ে ওঠে, সাধারণতঃ সে অভ্যাস মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে পরিচালিত করে। এক কথায় বলা যায় ছাত্রজীবন হল ভবিষ্যতের পথ গড়ার সময়।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ছাত্রদের পড়তে বসা দরকার। তারপর নিয়মমাফিক পাঠ্যতালিকার পড়া শেষ করে, স্নান-খাওয়া সেরে সময়মতো বিদ্যালয়ে যাওয়া উচিত। বিদ্যালয়ের যেসব নিয়ম ও শৃঙ্খলা আছে সেগুলো যাতে ঠিক ঠিক রক্ষিত হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে। সহপাঠী বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে চলতে হবে, এমন ব্যবহার কখনও করা উচিত নয় যাতে কোন সহপাঠীর মনে আঘাত লাগে।
লেখাপড়া ছাড়া অন্য কাজ
লেখাপড়া ছাড়াও ছাত্রজীবনে শরীর গঠনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন আছে। শরীর সুস্থ না থাকলে কেবল পড়াশুনাই নয়, কোন কাজই করা সম্ভব নয়। শরীর সুস্থ থাকলে মন ও হৃদয় প্রফুল্ল থাকে। ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির মনে শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মনুবর্তিতা ও একতার প্রতি আগ্রহ সহজেই উদয় হয়। সুতরাং ধৈর্য্যশীলতা ও স্থিরতা অর্জন করতে হলে ছাত্রজীবনে বিদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চাও নিয়মিত করা একান্ত আবশ্যক। খেলাধূলার উপর বিশেষ লক্ষ্য দিতে গিয়ে লেখাপড়ায় যাতে অবহেলা না হয় সেদিকেও যত্নবান হতে হবে অর্থাৎ সবকিছু হবে পরিমিত।
উপসংহার
ছাত্রজীবন হচ্ছে জ্ঞানার্জন, শরীরগঠন, সমাজসেবার দীক্ষা, ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা প্রভৃতি বিষয়ে অনুশীলনের উপযুক্ত সময়। তবে এও স্মরণ রাখা উচিত সারা জীবনই মানুষ জ্ঞানলাভ করতে পারে।
এই প্রবন্ধের সাহায্যে লেখা যায় :
1. ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য
2. ছাত্রজীবনের সমস্যা
3. ছাত্রজীবন