পদার্থ ও মিশ্রণ এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
পদার্থ ও মিশ্রণ এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
উত্তরঃ ফিল্টার কাগজের মধ্যে দিয়ে যে , স্বচ্ছ তরল নীচের পাত্রে জমা হয় তাকে পরিস্রুত বলে।
2. আস্রাবণ প্রণালীতে পাত্রের তলায় যে কঠিন পদার্থ জমা হয় তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ পলি বা গাদ।
3. যে পদার্থ উর্ধ্বপাতিত হয় তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ যে পদার্থ উর্ধ্বপাতিত হয় তাকে উর্ধ্বক্ষেপ বলে।
4. উর্ধ্বপাতিত হয় এমন দুটি পদার্থের নাম বলো।
উত্তরঃ কর্পূর, ন্যাপথ্যালিন।
5. চিনি ও জলের মিশ্রণকে কী বলে ?
উত্তরঃ সরবত।
6. কর্পূর খােলা অবস্থায় রাখলে উবে যায় একে কী বলে ?
উত্তরঃ কর্পূরকে উদ্বায়ী পদার্থ বলে।
7. তিনটি চৌম্বক পদার্থের নাম লেখাে।
উত্তরঃ চৌম্বক পদার্থ: লােহা, নিকেল, কোবাল্ট।
8. কোনাে তরলে কঠিন পদার্থ দ্রবীভূত থাকলে ওই কঠিন পদার্থকে কোন প্রক্রিয়ার সাহায্যে পৃথক করা যায় ?
উত্তরঃ পাতন প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে হবে।
9. লােহা ও গন্ধকের মিশ্রণ থেকে কোন দ্রাবকের সাহায্যে গন্ধককে আলাদা করা হয় ?
উত্তরঃ কার্বন ডাই-সালফাইড দ্রাবকের সাহায্যে লােহা ও গন্ধকের মিশ্রণ থেকে গন্ধককে আলাদা করা যায়।
10. কর্পূর ও বালির মিশ্রণ থেকে কর্পূরকে কোন প্রণালীতে পৃথক করবে ?
উত্তরঃ কর্পূর ও বালির মিশ্রণ থেকে কর্পূরকে উর্ধ্বপাতন প্রণালীতে পৃথক করা যায়।
11. কোন প্রণালীতে লিগবি শীতকের ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ পাতন প্রণালীতে লিগবি শীতকের ব্যবহার করা হয়।
12. পাতন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে কোনাে তরল পদার্থের সঙ্গে কঠিনের মিশ্রণ থেকে তাপের সাহায্যে প্রথমে তরলকে বাষ্পে পরিণত করে ওই বাষ্পকে শৈত্যের প্রভাবে ঘনীভূত করে পুনরায় তরলে পরিণত করে মিশ্রণের উপাদানগুলাের পৃথক করার পদ্ধতিকে পাতন বলে ।
13. উর্ধ্বপাতন কাকে বলে?
উঃ যে পদ্ধতিতে কোনাে কঠিন পদার্থকে তাপের সাহায্যে তরলে পরিণত না করে সরাসরি বাষ্পে পরিণত করা হয় আবার ওই বাষ্পকে ঠাণ্ডা করে তরলে পরিণত না করে সরাসরি কঠিনে পরিণত করা হয় তাকে উর্ধ্বপাতন বলে।
14. আস্রাবণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন কোনাে তরলে অদ্রাব্য ভারী কঠিন পদার্থের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা মিশ্রিত থাকে তখন ওই দ্রবণকে একটি পাত্রে কিছুক্ষণ স্থির রাখলে পাত্রের তলায় ভারী অদ্রাব্য কঠিন পদার্থের ক্ষুদ্র কণাগুলি অভিকর্ষের টানে পাত্রের তলায় জমা হবে। একে থিতানাে বলে। এই থিতানাে অবস্থায় উপরের পরিষ্কার তরলকে পাত্রটিকে কাত করে আস্তে আস্তে অন্য পাত্রে ঢেলে নেওয়া হয়। এইভাবে কোনাে তরলকে ওর সাথে মিশ্রিত ভারী কঠিন পদার্থের কণাগুলি থেকে পৃথক করার প্রণালীকে আস্রাবণ বলা হয়।
15. পরিস্রাবণ বলতে কী বােঝাে?
উঃ কোনাে তরলে মিশে থাকা কঠিন পদার্থের কণাগুলাে সূক্ষ্ম ও হালকা হলে দ্রবণ কণাগুলাে থিতাতে সময় নেয় আবার কণাগুলাে খুব সূক্ষ্ম হলে থিতাবে না। এ অবস্থায় আস্রাবণ প্রণালী দ্বারা তরলকে কঠিন পদার্থের কণা থেকে আলাদা করা যায় না। তখন কোনাে সছিদ্র পর্দা বা ফিল্টার কাগজ দিয়ে মিশ্রণটিকে ছেঁকে নিলে কণাগুলাে ফিল্টার কাগজের উপরে অবশেষ রূপে পড়ে থাকবে এবং ফিলটার কাগজের নীচে রাখা পাত্রে পরিষ্কার তরল জমা হবে। এই তরলকে পরিস্রুত বলে। এই পদ্ধতিকে পরিস্রাবণ বলে।
16. বারুদ থেকে বারুদের উপাদান কয়লা গুঁড়াে, সােরা ও গন্ধককে কীভাবে পৃথক করবে ?
উত্তরঃ মিশ্রণটিকে একটি বিকারে নিয়ে ওর সঙ্গে কার্বন ডাই-সালফাইড দ্রবণে ঢেলে কাচদণ্ড দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়া হল। এতে গন্ধক দ্রবীভূত হল ।এখন এই দ্রবণটিকে ফিলটার কাগজ দিয়ে পরিস্রাবণ করলে পরিস্রুত হিসেবে গন্ধকের কার্বন ডাই-সালফাইডের দ্রবণ পাওয়া গেল।
ফিলটার কাগজে পড়ে রইল কয়লার গুঁড়াে ও সােরা। বিকারে পরিশ্রুতকে বাষ্পীভূত হতে দিলে কার্বন ডাই-সালফাইড উবে যাবে, গন্ধক পড়ে থাকবে। এবং
কয়লা গুঁড়াে ও সােরার মিশ্রণকে অপর একটি বিকারে নিয়ে জল ঢেলে দিলে সােরা জলে দ্রবীভূত হবে। এই মিশ্রণটিকে ফিলটার করলে অবশেষ রূপে কয়লা গুঁড়াে পাওয়া যাবে।
সােরার জলীয় দ্রবণকে বাষ্পীভূত করলে সােরা ফিরে পাওয়া যাবে।
17. বালির ও চিনির মিশ্রণকে কীভাবে পৃথক করা যায় ?
উত্তরঃ সর্বপ্রথম দ্রবণটিকে জল ঢেলে চিনিকে জলে দ্রবীভূত করে নিতে হবে। এখন দ্রবণটিকে ফিলটার কাগজ দিয়ে ফিলটার করে নিলে ফিলটার কাগজের উপর বালি অবশেষ রূপে পাওয়া যাবে। পরিশ্রুত হিসেবে চিনির জলীয় দ্রবণ পাওয়া যায়। চিনির জলীয় দ্রবণ থেকে পাতন ক্রিয়া দ্বারা চিনিকে পাতন ফ্লাক্সে অবশেষ রূপে চিনিকে পাওয়া যাবে। এভাবে বালি ও চিনির মিশ্রণ থেকে বালি ও চিনিকে পৃথক করা যাবে।