নিরক্ষরেখা কাকে বলে? নিরক্ষরেখা কীভাবে কল্পনা করা হয় ? নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে কীভাবে ভাগ করেছে ভাগগুলির নাম কী ?

নিরক্ষরেখা

নিরক্ষরেখা কাকে বলে?
উঃ সুমেরু এবং কুমেরু বিন্দুদ্বয় থেকে সমান দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে থাকা বৃহত্তম রেখাকে নিরক্ষরেখা বলে।
নিরক্ষরেখা কীভাবে কল্পনা করা হয় ? নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে কীভাবে ভাগ করেছে ? ভাগগুলির নাম কী ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুবিন্দু দুটি পৃথিবীপৃষ্ঠে দুটি নির্দিষ্ট স্থান।
এই দুটি নির্দিষ্ট বিন্দু হতে সমান দূরত্বে পৃথিবীর ঠিক মধ্য অংশের উপর দিয়ে একটি বৃত্ত পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে বলে কল্পনা করা হয়। পৃথিবীর গােলীয় আকৃতির জন্য এই রেখাটিও একটি নির্দিষ্ট পূর্ণ বৃত্ত। একে নিরক্ষ বৃত্ত বা নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলা হয়।
এই রেখার সাহায্যে অপর সব জায়গার অক্ষাংশ বা এই রেখা হতে উত্তর-দক্ষিণের দূরত্ব স্থির করা হয়। বিষুবরেখা ভূগােলককে উত্তর ও দক্ষিণ দুটি সমান অংশে বিভক্ত করে। উত্তর অংশের নাম উত্তর গােলার্ধ এবং দক্ষিণ অংশের নাম দক্ষিণ গােলার্ধ।

নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে কেন ?
উত্তরঃ পৃথিবী গােলাকার হওয়ায় মধ্যস্থলে অবস্থিত নিরক্ষরেখার পরিধি সর্বাপেক্ষা বৃহৎ। নিরক্ষরেখার উত্তরে ও দক্ষিণে অক্ষরেখাসমূহের পরিধি ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। সেইজন্য নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে।

ভূগােলকের উপর কোনাে দুটি স্থানের দূরত্ব কীভাবে প্রকাশ করা হয় ?
উত্তরঃ সমতল ক্ষেত্রে দুটি স্থানের দূরত্ব সেন্টিমিটার, মিলিমিটার ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়, কিন্তু ভূপৃষ্ঠ গােলাকার ; এর উপরিস্থ যে-কোনাে দুটি স্থান থেকে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত কল্পিত দুটি ব্যাসার্ধ দ্বারা ভূকেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন হয়, চাঁদার সাহায্যে মেপে তার পরিমাণ নির্ণয় করলে এই স্থানের কৌণিক দূরত্ব বােঝা যাবে। ডিগ্রি (°), মিনিট (') এবং সেকেন্ড (”) প্রভৃতি দ্বারা এই দূরত্ব প্রকাশ করা হয়। পৃথিবী একটি বিরাট গােলক। এর পারিধির কৌণিক মাপ 360°। সেই হিসেবে নিরক্ষরেখা হতে সুমেরু বা কুমেরু পর্যন্ত যে দূরত্ব পৃথিবীর পরিধির এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ তার কৌণিক মাপ 90° বা এক সমকোণ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url