ফ্যারাডের সূত্র ও লেঞ্জের সূত্র

তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ - ফ্যারাডের ও লেঞ্জের সূত্র

তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ

1831 খিঃ ফ্যারাডে পরীক্ষা করে দেখান যে, কোন বদ্ধ কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বক আবেশ রেখার সংখ্যা বা জড়িত চৌম্বক ফ্লাস্ক পরিবর্তিত হলে কুণ্ডলীতে ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক বল এবং তড়িৎ প্রবাহ আবিষ্ট হয়। এই ঘটনাকে তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ বলে।

তড়িৎ চৌম্বক আবেশের সূত্র (Laws of electromagnetic Induction):-
তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে তিনটি সূত্র উদ্ভাবিত হয়েছে। প্রথম দুটি সূত্র ফ্যারাডের সূত্র নামে পরিচিত এবং তৃতীয় সূত্রটি লেঞ্জের সূত্র নামে পরিচিত। ফ্যারাডের সূত্রাবলী থেকে আবেশের শর্ত এবং আবিষ্ট তড়িচ্চালক বলের মান পাওয়া যায় এবং লেঞ্জের সূত্র থেকে তড়িচ্চালক বলের অভিমুখ নির্ণয় করা হয়।

 ফ্যারাডের সূত্র

• ১ম সূত্র : কোন বন্ধ কুণ্ডলীর সঙ্গে জড়িত চৌম্বকপ্রবাহ (magnetic flux) পরিবর্তিত হলে কুণ্ডলীতে তড়িচ্চালক বলের আবেশ ঘটে এবং কুণ্ডলীর মধ্যে তড়িৎপ্রবাহ চলে।

• দ্বিতীয় সূত্র : বদ্ধ কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বলের মান কুণ্ডলীর সঙ্গে জড়িত চৌম্বকপ্রবাহের পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।
E= induced voltage
N = number of loops
dΦB = change in magnetic flux ( চৌম্বক প্রবাহ)
dt = change in time

লেঞ্জের সূত্র

• লেঞ্জের সূত্র : তড়িৎচুম্বকীয় আবেশের ক্ষেত্রে, আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ এমন হবে যে, যে কারণে প্রবাহের সৃষ্টি হয়, প্রবাহ সর্বদা সেই কারণকে বাধা দেবে।

উপরে বর্ণনা থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে-
1. লেঞ্জের সূত্রটি কি?
2  ফ্যারাডের ২য় সূত্রটি বিবৃত করো।
3. ফ্যারাডের প্রথম সূত্র কি?
4. তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ সংক্রান্ত ফ্যারাডের সূত্র গুলি লেখ।
5. চৌম্বক আবেশের সূত্রটি কি?

আরো পড়ুন-
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url